আন-নাসের ক্লাবের সাবেক গোলরক্ষক ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সৌদি ক্লাব সতীর্থ ওয়ালিদ আব্দুল্লাহর বক্তব্যের জেরে ইসলাম ধর্মের প্রতি রোনালদোর আকর্ষণ ও ইসলাম গ্রহণের আকাঙ্খার গুঞ্জন সত্য প্রমাণিত হলো।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তার একটি সাক্ষাতকার ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, আল হিস্যাতুল আখিরাহ নামক টিভি শো-তে সৌদি আন-নাসের ফুটবল ক্লাবের সাবেক এই গোলকিপারের কাছে রোনালদোর ইসলাম গ্রহণের আকাঙ্খা ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, রোনালদো সত্যিকার অর্থেই ইসলাম গ্রহণ করতে চায়। আমি এবিষয়ে তার সাথে কথা বলেছিলাম। সেও ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো। গোল করার পর মাঠে সিজদা দিয়ে ইসলামের প্রতি তার আকর্ষণের বিষয়টিও ইতিমধ্যে জানান দিয়েছে সে। ক্লাব সতীর্থদেরও ইবাদাত ও ইসলামী রীতি অনুসরণে উৎসাহিত করে সে। আজানের আওয়াজ শুনতে পেলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোচকে অনুশীলনও বন্ধ রাখতে বলে।
তিনি আরো বলেন, রোনালদো যখন আন-নাসেরে আসে তখন তার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। আমরা একে অপরের খুব কাছাকাছি থাকতাম। সে এখানকার (সৌদি আরবের) সংস্কৃতি, ক্লাব ও যাবতীয় বিষয়ের সাথে পরিচিত ছিলো না। প্রতি মুহুর্তেই তার কৌতুহল জাগতো ও বিভিন্ন বিষয়ের খুটিনাটি আমাকে প্রশ্ন করে জেনে নিতো।
এছাড়াও বলেন, ২০২৩ এর শীতে সৌদি পাড়ি জমানোর আগে তার সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ মেসুত ওজিল ও করিম বেঞ্জেমা তাকে ইসলাম সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। মুসলিম হতে সহায়তা করে যাচ্ছিলেন। তাই সৌদি আসার আগেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগ্রহ তৈরি হয়েছিলো তার।
আন-নাসেরের হয়ে সে গোল করার পর মাঠে সিজদা করলে আমরা সকলে একযোগে আল্লাহু আকবার বলে তাকবির দিয়ে উঠতাম। এটিও তার মাঝে বেশ প্রভাব ফেলেছে। ইসলামের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
রোনালদো এখনো ইসলাম গ্রহণ করছেন না কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ ও খেলোয়াড় হিসেবে রোনালদো অত্যন্ত শৃঙ্খল। শৃঙ্খলার পাশাপাশি কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করে চলে। সে এবং তার ছেলে উভয়েই খুবই সাধাসিধে ও উষ্ণ হৃদয়ের অধিকারী। যদিও এখনো ইসলাম গ্রহণ করেনি, তবে তাদের ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
সূত্র: মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ , জিও সুপার









