নির্বাচনের সময় ঘোষণাসহ সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
আজ শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
চরমোনাই পীর বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরণের অস্থিরতা তৈরি হয়েছিলো। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিল-২৬ এর প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করে সেই অস্থিরতা প্রশমিত করায় তাঁকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একই সাথে বন্দর, মানবিক করিডোর নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করে উদ্বেগ দুর করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংস্কারই ছিলো জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কর্তব্য । সেই সংস্কার কাজের যে অগ্রগতির বিবরণ তিনি তুলে ধরেছেন তাতে আমরা আশান্বিত হয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করি তিনি ও তার সরকার সকল বাঁধা উপেক্ষা করে সংস্কারের কাজ শেষ করবেন। বিচারের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতির বিবরণ দিয়েছেন তা জাতিকে আশ্বস্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, কোরবানীর চামড়া যা মূলত গরীবদের হক তা নিয়ে বিগত সরকার সীমাহীন জালিয়াতি করেছে। সরকার এই ক্ষেত্রে ইতিবাচক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তা আশাব্যাঞ্জক। একই সাথে হজ্ব নিয়ে গৃহিত পদক্ষেপের সুফল জাতি পেয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এই সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সাধুবাদ যোগ্য। অর্থনীতির সংস্কার এবং দেশকে সঠিক ধারায় উত্তরণে এই সরকারের যে প্রচেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা তুলে ধরেছেন, তার প্রশংসা করতেই হবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যথার্থই বলেছেন; দেশ যুদ্ধাবস্থায় আছে। নানামুখী চক্রান্ত ও অপপ্রচার দেশকে আষ্টেপৃষ্টে আঁকড়ে ধরছে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ও সহযোগীতা দেশের স্বার্থেই আবশ্যক। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চিয়তার কুয়াশা রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিলো তা আজকে কেটে গেছে। ফলে সংস্কার ও বিচারের কাজে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার যে আহবান তিনি করেছেন তাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরাবরের মতো সাড়া দেবে।