মুক্ত জীবনের সন্ধানে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের একটি কারাগার থেকে অন্তত ছয় ফিলিস্তিনী বন্দী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের পাঁচজন ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের সদস্য। তাদের নাম মুন্দাল আইনফাত, মাহমুদ আরদিয়া, মুহাম্মাদ আরদিয়া, ইয়াকুব কাদারী ও ইহাম কামাগি। অপর একজন ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দল ফাতাহের সামরিক কমান্ডার জাকারিয়া জুবেইদি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের এই প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্যরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের জেলের ভেতরে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের গিলবোয়া জেলখানা থেকে ওই ফিলিস্তিনীরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনার পর ইহুদিবাদী সেনারা পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের আটকের জন্য তথাকথিত অভিযান চালাচ্ছে বলে ইসরাইলের গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদ সংস্থা জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, শিন বেট (ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা), সীমান্ত পুলিশ, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুটি সেনাদল এবং বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা পলাতকদের খুঁজছেন। এছাড়াও তাদেরকে খুঁজে বের করতে ড্রোন ও হেলিকপ্টারও ব্যবহার করছে ইসরাইল।
পলাতক ছয় ফিলিস্তিনী একই হাজত কক্ষে থাকতেন। তারা একটি পোস্টারের পেছনে লুকিয়ে রাখা জং ধরা চামচ দিয়ে সুড়ঙ্গটি খুঁড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্তত দুই মাস ধরে তারা খননের কাজ করেন।
জানা যায়, ইসরাইলের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ছয় ফিলিস্তিনীর মধ্যে পাঁচজন পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের এবং একজন দেইর আল-বাশা শহরের অধিবাসী।
ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এই ফিলিস্তিনীরা সম্ভবত আন্ডারগ্রাউন্ড একটি টানেলের মধ্যদিয়ে পালিয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে- গত কয়েক মাস ধরে তারা ওই টানেল খুড়েছেন। দৃশ্যত মনে হচ্ছে এসমস্ত বন্দিরা কারাগার থেকে পালানোর পর তারা অপেক্ষমান একটি গাড়িতে করে চলে যান। রাত একটার সময় ফিলিস্তিনী বন্দিরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ ঘটনাকে বীরত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন।
হামাসের অন্যতম মুখপাত্র ফাউজি বারহুম এক বিবৃতিতে বলেছেন, কারাগার থেকে এসব বন্দির পলায়ন এর মধ্যদিয়ে তাদের সাহসিকতার পরিচয় বেরিয়ে এসেছে, এটি একটি বীরত্বপূর্ণ ঘটনা। ইসরাইলের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও তারা মুক্তি অর্জন করেছেন।










