জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে সংস্কারের পক্ষে গণভোট অর্ডার করতে হবে। সে অর্ডার ড. ইউনূসকে বাস্তবায়ন করতে হবে। চুপ্পুর হাত থেকে কোনো ধরনের জুলাই সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না। চুপ্পুর হাত থেকে জুলাই সার্টিফিকেট নেওয়ার থেকে সবাই একসঙ্গে বিষ খেয়ে মরা ভালো।’
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে শহরের কে কে রায় সড়ক কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়ামে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকে বলেন ‘চিলড্রেন পার্টি’। আমরা চিলড্রেন পার্টিই সিদ্ধান্ত নিয়েছি জুলাই সনদে সিগনেচার (স্বাক্ষর) করব না। সিগনেচার করে আমরাতো গোপনে কাঁদতেও দেখেছি। আমরা যে কথা বলছি, দিনশেষে তো সেখানে আসছেন। আপনাদের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেটার প্রতি আমরা মর্যাদা দিই। আপনি রাস্তাটা হয়তো চিনেন, কিন্তু কীভাবে দৌড়াতে হয় সেটা আমরা জানি। চলেন আপনারা আমাদের রাস্তা দেখান আর আমরা দৌড়ব। এক সঙ্গে বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা রাতে ঘুমাতে পারেন নাই বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, গণতন্ত্র ভোটের অধিকারের জন্য আমরা তাদের সম্মান জানাই। এ বিষয়টাকে আমরা ধারণ করি, কিন্তু আপনি যে পার্টি করছেন, তারা ধারণ করে না। আপনি চলে আসেন আমাদের কাছে, আমরা আপনাকে সম্মান দেব। বাংলাদেশে আর কেউ আওয়ামী লীগ হতে পারবে না। আমরা হতে দেব না।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের লোকদের রাজনীতিতে ত্যাগ ছিল। বাংলাদেশের একটা গ্রাম দেখাতে পারবেন না যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা ছিল না। এ মানুষগুলোকে উদ্ধার করা এখন আমাদের দায়িত্ব।’
এনসিপির রাঙ্গামাটি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী বিপিন জ্যোতি চাকমার সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন, এনসিপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম সুজা উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবায়ের আরিফ, ইমন সৈয়দ, কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এবং খাগড়াছড়ির প্রধান সমন্বয়কারী মনজিলা ঝুমা, বান্দরবান জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী শহীদুর রহমান সোহেল, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হক, শ্রমিক শক্তির যুগ্ম-আহ্বায়ক কলিন চাকমা প্রমুখ।









