সংগ্রামী ফিলিস্তিনিরা ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবের কাছে এলাদ শহরে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী বা কথতি ”স্বাধীনতা দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তাদের আনন্দকে শোকে পরিণত করে দিয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে এটি ছিল ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পঞ্চম দফা শাহাদাত পিয়াসি হামলা। ফিলিস্তিনিদের এ অভিযানে অন্তত তিন ইহুদিবাদী ইসরাইলি নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনিরা সাধারণ অস্ত্র দিয়েই এ অভিযান চালায়। কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, চাকু, কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে ফিলিস্তিনিরা ওই হামলা চালায় এবং পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তবে ইসরাইলের বাহিনী কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি এবং সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে। এজন্য তারা সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এবং আটক অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে।
প্রকৃতপক্ষে, গত বৃহস্পতিবার আল আকসা মসজিদে ইহুদি অভিবাসীদের আগ্রাসন ও অপরাধযজ্ঞের জবাবে ফিলিস্তিনিরা পাল্টা এই হামলা চালিয়েছে। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইহুদিবাদীরা সেনাবাহিনীর সহায়তায় আল আকসা মসজিদে হামলা চালায় এবং এতে বেশ ক’জন ফিলিস্তিনি আহত হয়। দখলদার বাহিনী রবার বুলেটও ছুড়ে, লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাস দিয়ে ফিলিস্তিনিদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল। এ ছাড়া ইসরাইলের পুলিশের ছত্র ছায়ায় ইহুদি অভিবাসীরাও সংঘবদ্ধভাবে গত বৃহস্পতিবার আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলার পর হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগ্রামী দলগুলো আল আকসায় হামলার পরিণতির ব্যাপারে ইসরাইলকে সতর্ক করে দিয়েছিল।
এর আগে সংগ্রামী ফিলিস্তিনিরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, আল আকসা মসজিদ হচ্ছে তাদের জন্য রেড লাইন। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে ইসরাইলি ওই হামলার জবাবেই ফিলিস্তিনিরা এ অভিযান চালিয়েছে। এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন জানিয়েছে, তেলআবিবের কাছে এলাদ শহরে ফিলিস্তিনিরা যে অভিযান চালিয়েছে তা ছিল আল আকসা মসজিদে ইসরাইলি হামলার পাল্টা হুমকির বাস্তবায়ন।
গত দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের হামলায় ১৮ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
পার্সটুডে