পটুয়াখালীর দুমকিতে অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মনিরুজ্জামান নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এমনকি চাঁদা না দেওয়ায় গাড়ির চাকা খুলে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অটোচালক মো. ইলিয়াস গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিনের মতো থানা ব্রিজ এলাকায় আসলে মনিরুজ্জামান তার অটোগাড়ি হাতের ইশারায় গতিরোধ করেন এবং থানায় ডিউটির কথা বলেন। গাড়ির যান্ত্রিক সমস্যার কথা বললে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার গাড়ির চাকা খুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি এরকম হয়রানির জন্য বিচার দাবি করেন।
কয়েকজন অটোরিকশাচালক অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় তাদের থামিয়ে রাতে থানার পেট্রল ডিউটি করার জন্য বাধ্য করেন তিনি। কেউ অপারগতা প্রকাশ করলেই তার কাছে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে অটোরিকশা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে একজন ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপজেলায় চলাচলকারী প্রায় ৯০০ খেটেখাওয়া গরিব অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত বিভিন্ন অংকের চাঁদা তোলেন মনির। প্রতিদিন গড়ে যদি অন্তত ১০টি অটোরিকশা থেকে ন্যূনতম দুইশ করে চাঁদা তোলেন তাতেও দৈনিক ২০০০ টাকা আয় রয়েছে তার। তিনি নিজেকে এমনভাবে জাহির করেছেন কেউ তার ব্যাপারে মুখ খুলতেও রাজি নন।
অভিযোগের বিষয়ে মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতেই কোনো কুচক্রী মহল আমার পিছে লেগে থাকতে পারে। তবে ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কয়েকজন- এমন কথা বললে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। চাকা খুলে রাখার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে তদন্তের মাধ্যমে যদি এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুমকি থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।