শুক্রবার | ১৯ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মবের নাম শাহবাগ: ওসমান হাদী

‘শাহবাগের সন্ত্রাস বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও ভয়াবহ মবের নাম’ মন্তব্য করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেছেন, যেই শাহবাগের সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম বিপরীত রাষ্ট্রকল্প তৈরি করে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা, আইনব্যবস্থা ও সচিবালয়সহ সবকিছুকে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই শাহবাগ এই গণমাধ্যমেগুলোর কাছে সন্ত্রাস না। একটা মিডিয়া কি তখন এইসবকে মব বলেছে?

শাহবাগী মবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাংবাদিকদের কিভাবে মবের শিকার হতে হয়েছিল এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের উপর হাজার আক্রমণের পরেও কুষ্টিয়াতে যখন আক্রান্ত হন তার মাথা এমনভাবে ফাটিয়েছে যে, ১১ টা সেলাই লেগেছে। রক্তাক্ত এবং ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। একটা পত্রিকাও সেটাকে মব বলে নাই। একজন মানুষ আদালতের কাছে গেছে, আদালতের সামনে তার মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে।

আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই সনদ ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মব বয়ান জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কিভাবে দাঁড় করানো হচ্ছে সেটি উল্লেখ করে ওসমান হাদী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও ভয়াবহ মবের নাম শাহবাগের সন্ত্রাস।

এছাড়া এই মববাজরা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সন্ত্রাসীরা সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের পত্রিকা অফিসে গিয়ে তার রুমে ঢুকে দাঁড়ি ধরে টেনে তাকে বের করে থানায় নিয়ে গেছে। এসব ঘটনাকে একটা পত্রিকাও মব লেখে নাই। সেইসব মব না। এখন জুলাইয়ে হাত হারানো পা হারানো ও স্বজন হারানো যোদ্ধারা যখন প্রাণ হারানোর শঙ্কা থেকে গালি দিচ্ছে সেটিকে মব বলছে। আর এই গালিকে এতো অপবিত্র মনে হয়, তুলনা করা হচ্ছে গত ১৫ বছরের সাথে, যার তুলনা একমাত্র জাহান্নামের সাথে হতে পারে।

এসময় জুলাই সনদের ভিত্তিতে যদি নির্বাচন না হয়, ওই নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরিকত্বের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

গণশক্তি সভার সভাপতি সাদেক রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কর্ণেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, সবেক সচিব ও কূটনীতিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গণ মুক্তিযোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ প্রমুখ।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img