শনিবার | ১৫ নভেম্বর | ২০২৫

বন্দরে বিক্ষোভ, ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাতে পারল না আমেরিকা

বন্দরে রাখা আছে জাহাজ। সেই জাহাজে করেই ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাতে চাইছে আমেরিকা—এমন ধারণা থেকেই তাকোমা বন্দরে বিক্ষোভ করেন আমেরিকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনপন্থীরা। আর এ কারণে সেই জাহাজ আর অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের দিকে যেতে পারেনি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা বলছে, সোমবার ওয়াশিংটনের তাকোমা বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল ওই জাহাজ। তখনই পাশে ফাঁকা জায়গায় বিক্ষোভ করেন হাজারো জনতা। বিক্ষোভের মুখে সেই জাহাজ আর ছেড়ে যায়নি।

তাকোমা বন্দরের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমার এখনই যুদ্ধবিরতি চাই। গাজায় মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলে আমেরিকা সহায়তা পাঠানোর আগে তা নিরীহ মানুষ মারায় ব্যবহার করা হবে কিনা– সে ব্যাপারে তদন্ত হওয়া দরকার।’

ওয়াসিম নামের ওই বিক্ষোভকারী আরব রিসোর্চ অ্যান্ড অর্গানাউজিং সেন্টারের (এআরওসি) সঙ্গে কাজ করেন বলে জানা যায়। আরও ওই সংগঠনই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

তবে ওই জাহাজে করে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যায়নি। তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র জেফ জার্গেনসন বলেছেন, ওই জাহাজ ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এটি অস্ত্রে ভরা ছিল কিনা– তা তিনি জানাননি।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়। এরপর হামাসকে লক্ষ্য করে হাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ৪ হাজারেরও বেশি শিশুসহ ১০ হাজার ২২২জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি নিহত হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জন।

গতকাল সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দ্প্তরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে গাজা উপত্যকা শিশুদের কবরস্থান হয়ে উঠছে। গাজার মানবিক বিপর্যয় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তাকে আরও জরুরি করে তুলেছে।’

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img