বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ইতোমধ্যেই আমরা শুনেছি, জাতীয় পার্টি বলেছে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি নাকি দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করে। জাতীয় পার্টি হলো জাতীয় বেইমান। তারা অভ্যুত্থান-পরবর্তী এই বাংলাদেশে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এমন দুঃসাহস কীভাবে পায়?
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। আশপাশের ফ্যাসিবাদ যে কোনো সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোনোদিন প্রাসঙ্গিক না এবং প্রাসঙ্গিক হবেও না।
তিনি বলেন, মাদার অব টেরর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে যথাযথ জায়গায় আমরা তাকে পাঠিয়েছি। এই মাদার অব টেরর ভারতে বসেও আমাদের বিরুদ্ধে তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থান অত্যন্ত প্রেস্টিজিয়াস বিষয়। এটির ক্রেডিট অবশ্যই আমরা যার যার জায়গা থেকে নেব। কিন্তু ক্রেডিট নিতে গিয়ে এটি যেন ভুলে না যাই, যে উদ্দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল সেই উদ্দেশের সঙ্গে আমরা যেন কখনো কম্প্রোমাইজ না করি।
হাসানাত বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই গণ-অভ্যুত্থানে যে স্পিরিট নিয়ে ওয়াসিম-মুগ্ধ-আবু সাঈদ রক্ত দিয়েছেন, আমরা এর ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু যে উদ্দেশে রক্ত দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নে আমরা কতদূর এগোলাম সে হিসাব এখন আর অনেক রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
তিনি বলেন, আপনারা যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে যাচ্ছেন আপনারা রাজনৈতিক স্বার্থে কম্প্রোমাইজ করতে পারেন। কিন্তু যারা রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা যারা এই দেশের টানে রাস্তায় নেমে এসেছিলাম, আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আপনাদের ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করতে হবে। তবে আমরা যতদিন বেঁচে আছি, আমরা থাকতে এই বাংলাদেশে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া—এক ইঞ্চি মাটিও ফ্যাসিবাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে না।
