সোমবার | ৮ ডিসেম্বর | ২০২৫

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শায়েখ সুওয়াইদানের নাগরিকত্ব বাতিল করল কুয়েত

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শায়েখ তারেক আল সুওয়াইদানের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে কুয়েত।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও দাঈ শায়েখ তারেক আল সুওয়াইদান সহ ২৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিলের ডিক্রি জারি করেছে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্র কুয়েত।

কুয়েত টুডের সরকারি গেজেটে ডিক্রিটি প্রকাশ করা হয়। এতে ডিক্রিটিকে ২২৭ নং উল্লেখ করে বলা হয়, তারেক মুহাম্মদ সালেহ আল-সুওয়াইদান ও তার উপর নির্ভরশীলতার কারণ দেখিয়ে যারা নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুপারিশ এবং মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনের পর কুয়েতের আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আস-সাবাহ এই আদেশে স্বাক্ষর করেন।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ডিক্রিতে আল-সুওয়াইদানের নাগরিকত্ব বাতিলের আইনি ভিত্তি নির্দিষ্ট করা হয়নি। কুয়েত সাধারণত জালিয়াতি, দ্বৈত নাগরিকত্ব, বিশিষ্ট পরিষেবার মাধ্যমে অধিগ্রহণ অথবা জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে জাতীয়তা প্রত্যাহার করে থাকে।

দেশটি নাগরিকত্ব তদন্তের জন্য উচ্চতর কমিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের অধিক ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করেছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করা বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও দাঈ শায়েখ সুওয়াইদান ইখওয়ানী বা ব্রাদারহুড মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে বেশি পরিচিত। তিনি শরীয়াহ জ্ঞানের পাশাপাশি পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপরও পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ নেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবিষয়ের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ প্রতিবেশী উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর কড়া সমালোচনা করে থাকেন তিনি। এজন্য তাকে বারবার বাধার মুখেও পড়তে হয়েছে।

এছাড়া গত বছর কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি উপসাগরীয় ও অন্য একটি আরব রাষ্ট্রকে অপমান করার অভিযোগ আনে। পরবর্তীতে তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই ফৌজদারি আদালত তাকে খালাস দেয়, যদিও প্রসিকিউটররা তার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img