জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা বলেন, ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) দুপরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে নেতারা বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ধর্ষণের শাস্তি যেমন সহজতর, তেমনই তার প্রয়োগ সবচেয়ে ধীরগতির। একই সাথে সামাজিকভাবে বিবাহকে দুরহ করে তোলা হয়েছে, মিডিয়া, নাটক-সিনেমায় যৌনতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে, অশ্লীল সাইটগুলো এখনো বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ করা যায়। তাই দ্রুত ও প্রকাশ্য শাস্তি এবং বিকৃত যৌনতার উৎস রোধ করে কুরআনি বিধান বাস্তবায়ন ছাড়া ধর্ষণের এই বিভৎসতার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব না।
তারা বলেন, দেশে নারীসমাজের নিরাপত্তা নিয়ে আজ সচেতন মহল মাত্রই উদ্বিগ্ন। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ আমরা অতীতেও দেখিনি, বর্তমানেও অনুপস্থিত। অথচ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক যিনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এবং তা প্রকাশ্যে দ্রুত কার্যকর করলে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা মূহুর্তেই বন্ধ হয়ে যাবে।
নেতারা আরও বলেন, গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সমাজ উন্নয়নে অবদানের জন্য মুহিন (মোহনা) কে ‘অদম্য নারী পুরস্কার দেয়া হয়েছে। যিনি জন্মগতভাবে একজন পুরুষ ও রূপান্তরের মাধ্যমে নিজেকে নারী দাবী করেন। অথচ দেশে হাজারো নারী সামাজিক, পারিবারিক রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। একজন রূপান্তরকামীকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে এদেশের কোটি কোটি নারীকে অসম্মান করা হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন, জেন্ডার সমতার নামে দেশে যে সমাজ ও ধর্মবিদ্বেষী মতবাদকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, তার পরিনাম ভালো হবে না। একজন ট্রান্সজেন্ডার কে নারী পুরস্কার দিয়ে সরকার এদেশের ধর্মপ্রাণ মানেষের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার, মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়জী, মুফতী মোস্তফা কামাল, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, রফিকুল ইসলাম, মাওলানা কামালুদ্দীন সিরাজ, মুফতী ওমর ফারুক ইবরাহীমি, মুফতী আবদুল আজীজ কাসেমী, মুফতী শাহজাহান আল হাবীবী, মুফতী ফরিদুল ইসলাম প্রমূখ।