মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে শত্রুতা দীর্ঘদিনের। পরমাণু কর্মসূচি ও সামরিক উত্তেজনা এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে এমন সংঘর্ষ এড়াতে বদ্ধপরিকর উপসাগরীয় দেশ কাতার। এজন্য ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানো জরুরি বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান বিন জসিম আল সানি।
শুক্রবার (০৭ মার্চ) মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা হলে সেখানে বিস্ফোরণের ফলে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান পানিতে মিশে যাবে। এতে পারস্য উপসাগরের পানি দূষিত হয়ে পড়বে, যা আশপাশের দেশগুলোর জন্য মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা তৈরি করবে। বিশেষ করে, কাতারের মতো দেশ, যাদের পানির উৎস মূলত উপসাগর, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এমন দূষণের কারণে মাত্র তিন দিনের মধ্যেই দেশটিতে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিতে পারে, যা জনজীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এই বিপর্যয়ের প্রভাব শুধু কাতারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পারস্য উপসাগরের আশপাশের অন্যান্য দেশগুলোর ওপরও পড়বে। বিশেষ করে কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, যারা তাদের পানির জন্য মূলত এই উপসাগরের ওপর নির্ভরশীল, তারাও ভয়াবহ সংকটে পড়বে। দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য, কৃষি এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইরানের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই বক্তব্যের পরপরই এমন বক্তব্য এসেছে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ ও মিডল ইস্ট মনিটর