ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে পুরোমাত্রায় তেল ক্রয় শুরুর পর থেকে একদিকে যেমন দেশটির জনগণের জ্বালানি তেলের চাহিদা মিটছে, তেমনি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও এটি সহায়তা করছে বলে দাবি করেন ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানিমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি।
বুধবার (৯ জুলাই) কানাডার সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেছেন হরদীপ।
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে পুতিনের যুদ্ধমেশিনকে শক্তিশালী করছেন কি না? সাক্ষাৎকারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, “গত কয়েক বছরে বিভিন্ন বৈশ্বিক কারণে জ্বালানি নিরাপত্তার ব্যাপারটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আমরা এসব চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে অবগত এবং একই সঙ্গে আমাদের দেশের জনগণকে ন্যায্যমূল্যে জ্বালানি সরবরাহের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি বলেন, “আর শুধু আমরাই তো নই, অন্যান্য অনেক দেশও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনে। আমরা সবাই যদি এখন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিই, তাহলে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১৩০ ডলারে ঠেকবে। সেক্ষেত্রে দেশে দেশে অস্থিরতা শুরু হবে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে। আমরা আমাদের মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তারা এটি অনুধাবন করতে পেরে বলেছে, ‘আপনারা রাশিয়ার তেল কিনুন, কিন্তু অবশ্যই যে মূল্য আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি সেই মূল্যে কিনতে হবে।’ ভারত এবং রাশিয়া উভয়ে এই শর্ত মেনেই তেল কেনা-বেচা করছে।”
জ্বালানিমন্ত্রী বলেন “আমি মনে করি, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার মাধ্যমে ভারত একদিকে যেমন বিশ্ব অর্থনীতিকে সহযোগিতা করছে, তেমনি তেলের দামে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও ভূমিকা রাখছে।”
সূত্র : আরটি









