অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বন্দীদের মানবিক ঢাল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। পদাতিক অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজন বাড়িগুলোতে বোমা অথবা বিস্ফোরক যন্ত্র রয়েছে কিনা তা জানার জন্য এসব বন্দীদের ব্যাবহার করা হতো বলে জানা যায়। এক্ষেত্রে তাদের শরীরের সাথে সংযুক্ত করা হতো একাধিক সিসি ক্যামেরা।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে মুক্ত হওয়া ফিলিস্তিনের কয়েকজন বন্দি।
২০ বছর বয়সী মুহাম্মাদ আব্দেল ফাত্তাহ সাদ বলেন, ” ইসরাইলি সেনাবাহিনী আমাদের শরীরে নজরদারি ক্যামেরা সংযুক্ত করে জোরপূর্বক বিভিন্ন বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধ্য করতো। অতঃপর এসব বাড়ির ভেতরে ধ্বংসপ্রাপ্ত সামরিক যানগুলোর আশেপাশে পর্যবেক্ষণ করতে বলতো। তারা আমাদের মানবিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত ও শরীরে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে ফুটেজ সংগ্রহ করত।”
সাদ আরো বলেন, বোমায় বিস্ফোরিত একটি ইসরাইলি সামরিক যানের ফুটেজ সংগ্রহের জন্য তাকে পাঠানো হলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তিনি নিজেকে একটি হাসপাতালে আবিষ্কার করেন।
প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রাক্তন বন্দিদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, বন্দিদের ঠিক সেইসব ভয়ংকর স্থানের ভিডিও করতে পাঠানো হতো, ঠিক যেখানে পুনরায় ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে তারা মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করত।
ইসরাইলি কারাগারের নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে সাদ বলেন, বন্দিদের প্রচন্ড মারধর করত ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ইচ্ছাকৃতভাবে তাদেরকে তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত রাখা হতো। দিনে মাত্র একবার শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হতো।
তিনি আরো বলেন, “একদিন আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম তাদের, তারা ঠিক আমার চোখের ভ্রুর উপরে রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার প্রায় ৪৫ দিন বন্দি অবস্থায় থাকার পর তিনি গাজ্জায় ফিরেছেন।
সূত্র: আনাদোলু নিউজ এজেন্সি











