বৃহস্পতিবার | ১১ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

হাসিনাকে আজীবন সদস্য চাওয়া সেই বাম নেত্রী ইমি ভিপি পদে ভোট পেলেন মাত্র ৬৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি মাত্র ৬৮ ভোট পেয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন ডাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন।

চিফ রিটার্নিং অফিসার জানান, ভিপি, জিএস, এজিএসসহ মোট ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। ভিপি পদে আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। জিএস পদে জয়ী হয়েছেন এসএম ফরহাদ, যিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। এই পদে ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট এবং প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।

শিবির সমর্থিত প্যানেলের বাইরের পাঁচটি পদে জয়ী হয়েছেন ভিন্ন প্রার্থীরা। সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবাইর বিন নেছারী। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বী। এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।

উল্লেখযোগ্য যে, ইমি ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শামসুন্নাহার হল সংসদে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই বছর তিনি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ডাকসুর ভিপি হওয়ার পর এক টকশোতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করার প্রস্তাব দেন। সে সময় ভিপি নুরুল হক নুর এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও ইমি বলেছিলেন, “শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন সম্ভব হয়েছে তার আন্তরিকতার কারণেই। কৃতজ্ঞতাবশত হলেও তাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা উচিত।”

পরে ২০১৯ সালের ৩০ মে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন তৎকালীন ভিপি নুরুল হক নুর এবং সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

 

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img