শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে নৌ মহড়া চালিয়েছে বাংলাদেশ ও মার্কিন নৌবাহিনী

spot_imgspot_img

মার্কিন নৌবাহিনীর ইউএসএনএস মিল্লিনকেট (টি-ইপিএফ ৩) জাহাজের সাথে বঙ্গোপসাগরে নৌ মহড়ায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। কোঅপারেশান অ্যফ্লোট রেডিনেস অ্যাণ্ড ট্রেনিং (কারাত) বাংলাদেশ ২০২০ মহড়ার অংশ হিসেবে এতে অংশ নেয় দুই দেশ। এই মহড়ার মাধ্যমে এ অঞ্চলের অভিন্ন নৌ নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবেলায় এবং অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চল নিশ্চিত করার ব্যাপারে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রতিশ্রুতি ফুটে উঠেছে।

দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সামরিক মহড়ার ডিজাইন করা হয়েছে। আমেরিকা ও বাংলাদেশ সমন্বয়ের মাধ্যমে জাহাজ মোতায়েন করবে যাতে অন্যান্য তৎপরতার সাথে কৌশলগত মহড়ায় অংশ নেয়া যায়। এই মহড়ার সাগর অংশে বঙ্গোপসাগরে দুই দেশের জাহাজগুলো অংশ নেবে।

আমেরিকা ও বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে সমন্বয়ের মাধ্যমে জাহাজ মোতায়েনসহ ট্যাকটিক্যাল মহড়ায় অংশ নেয়। জাহাজগুলো একই সাথে গোলা বর্ষণ মহড়া, ডিভিশান ট্যাকটিক্স, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, এবং আরএএস অ্যাপ্রোচেও অংশ নেবে। জটিল মহড়ার ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি মাথায় রেখে এই মহড়ার ডিজাইন করা হয়েছে।

এ বছর কারাতের ২৬তম মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউএসএনএস মিল্লিনকেট (টি-ইপিএফ-৩) তৃতীয় স্পেয়ারহেড শ্রেণীর এক্সপেডিশনারি ফাস্ট ট্রান্সপোর্ট (ইপিএফ), যেটা আমেরিকার মিলিটারি সিলিফ্ট কমান্ডের অংশ এবং আলাবামায় এটি তৈরি করা হয়। স্পেয়ারহেড-শ্রেণীর এক্সপেডিশনারী ফাস্ট ট্রান্সপোর্ট (ইপিএফ) আমেরিকার নৌবাহিনীর একটি জাহাজনির্মাণ কর্মসূচি, যেটা গ্রহণ করা হয়েছে দেশটির নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য।

ইপিএফ মার্কিন সেনাবাহিনী ও মার্কিন মেরিন কর্পসের কোম্পানিগুলোকে তাদের সরঞ্জামাদিসহ পরিবহন করতে পারে, অথবা পদাতিক ব্যাটালিয়নের জন্যও সেনা পরিবহনের কাজ করতে পারে। এতে হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য ফ্লাইট ডেক রযেছে এবং একটি লোডিং র‍্যাম্প রয়েছে যেটা দিয়ে যানবাহন দ্রুত জাহাজে উঠতে ও নামতে পারে। এই র‍্যাম্প উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর ও নেভি রেকগনিশান

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img