ইয়েমেনে জাতিসংঘ সমর্থিত বিস্তৃত রাজনৈতিক সমাধানের আহবান জানিয়েছে সৌদি আরব, ইরান ও চীন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) তেহরানে বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহবান জানানো হয়।
‘বেইজিং চুক্তি’ অনুসরণ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অনুষ্ঠিত ৩য় বারের বৈঠকটিতে দেশগুলো ইয়েমেনে জাতিসংঘ সমর্থিত বিস্তৃত রাজনৈতিক সমাধানের আহবান জানায় এবং গৃহযুদ্ধে জর্জরিত আরব দেশটিতে সংঘাতের অবসানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কাঠামোর প্রতি যৌথ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
এছাড়া সৌদি এবং ইরান দু’পক্ষই ২০২৩ সালের ১০ মার্চ সাক্ষরিত ‘বেইজিং চুক্তির’ সকল ধারা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। পাশাপাশি জাতিসংঘ ও ওআইসি সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে নিজেদের মধ্যে সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক জোরদারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা জানায়, যার মধ্যে থাকবে উভয় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধা।
উক্ত বৈঠক থেকে সৌদি, ইরান ও চীন তিনটি দেশই ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছে। আহবান জানিয়েছে অবিলম্বে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং সিরিয়ায় ইসরাইলী আগ্রাসন বন্ধের।
সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএর তথ্য অনুযায়ী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইরানের রাজনৈতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত রুওয়ানজি, সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ বিন আব্দুল করিম আল-খুরাইজি এবং চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়াও দেউ।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ইয়েমেনে সম্প্রতি পুনরায় সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আরব আমিরাত সমর্থিত বাহিনী দেশটির পুরো দক্ষিণাঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়, যেখানে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র হুথিদের চাপে আন্তর্জাতিক ভাবে বৈধ সরকার পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো।
উল্লেখ্য, বেইজিং চুক্তি হলো সেই চুক্তি যার ফলে প্রায় ৮ বছর পর ২০২৩ সালে সৌদি-ইরান উত্তেজনার ও বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটেছিলো।
সূত্র: আনাদোলু









