রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে, তিনি আলোচনার জন্য পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রস্তাবিত কূটনৈতিক পথ এড়িয়ে গিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বেছে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১০ মে) মস্কোতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিষয়ে কথা বলেন পুতিন।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ মে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে কোন ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই ইউক্রেনের সাথে সরাসরি শান্তি আলোচনা করতে প্রস্তুত রাশিয়া।
এ সময় তিনি আরো বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু সেটা হতে হবে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই — মূল সমস্যাগুলোর সমাধানের মাধ্যমে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এরদোগানকে সামনে রেখে পুতিন পশ্চিমাদের প্রভাব কমিয়ে আলাদা কূটনৈতিক মঞ্চ তৈরি করতে চাইছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দেয় যে তিনি পশ্চিমা নেতাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় শক্তিগুলোর—অবস্থানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছেন। তার পরিবর্তে তিনি এমন একজন নেতার উপর ভরসা রাখছেন, যিনি ন্যাটো সদস্য হলেও রাশিয়ার সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করেছেন।
প্রসঙ্গত, এরদোগান আগে থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মাঝে মধ্যস্থতা করে শস্য রপ্তানি চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে ভূমিকা রেখেছিলেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও পশ্চিমা নেতারা ১২ মে থেকে এক মাসের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে পুতিন সেই আহ্বানের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করেই আলোচনার প্রস্তাব দেন।
সূত্র: রেডিও ফ্রি ইউরোপ