সেনাবাহিনীকে সত্যিকারের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক ফেসবুক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে ফরহাদ বলেন, ‘বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনে গুম, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছিল। গুম কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাত্র ১৩ কার্যদিবসে প্রায় ১৮শ’ গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে। এর শিকার হয়েছেন সাধারণ নাগরিক, শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, নারী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির, জামায়াত, বিএনপিসহ আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এমনকি শিশুরাও এই নৃশংসতা থেকে বাদ যায়নি। এ সকল গুম, নির্যাতন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের জন্য কেবল স্বৈরাচার হাসিনা ও তার আওয়ামী ফ্যাসিবাদই দায়ী নয়; এর সাথে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অনেক সদস্যরাও জড়িত। গুমের পর আয়নাঘরে চালানো অমানবিক নির্যাতন সভ্য সমাজে ঘৃণিত ও নিন্দনীয়।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সেনাবাহিনীকে সত্যিকারের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। এটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ইগো বা মর্যাদার প্রশ্ন নয়; এটি রাষ্ট্র, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। ন্যায়বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হলে সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে না, বরং তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী এবং সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।’
তিনি অপরাধীদের দায়মুক্তির বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘চিহ্নিত অপরাধীদের সেইফ এক্সিট তেরির চেষ্টায় জড়িতদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’