সোমবার | ১৩ অক্টোবর | ২০২৫

গুম-খুনের নির্দেশদাতা হাসিনা ও এতে জড়িত পুলিশ-গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি ডাকসুর

শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনের নির্দেশদাতাদের বিচার দাবি ডাকসুর

গুম-খুনের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা এবং এতে জড়িত সামরিক, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ডাকসু নেতাদের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

ডাকসু নেতারা বলেন, এই গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ কেবল স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার রাজনৈতিক মহলই দায়ী নয়। বরং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা ও সংস্থাগুলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। ‘আয়নাঘর’ সহ গোপন বন্দিশালায় চালানো অমানবিক নির্যাতন সভ্য সমাজে লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়। রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে অসংখ্য নাগরিককে জোরপূর্বক গুম করে ফেলা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং তাদের ‘জঙ্গি’ হিসেবে প্রচার করা ছিল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের একটি পরিকল্পিত কৌশল।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার সময় ছিল বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামল। সেই সময়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত গুম, খুন, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। গুম কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইতোমধ্যেই ১৮০০-এর অধিক গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে। যার শিকার হয়েছেন সাধারণ নাগরিক, শিক্ষার্থী, নারী, শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এমনকি শিশুরাও এই নৃশংসতার হাত থেকে রেহাই পায়নি।

এতে আরও বলা হয়, বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী এই গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। তাদের অনেককে রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে আটক, নির্যাতন ও গুম করা হয়েছে। এখনও অনেক শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সেটিও আমরা জানি না।

উদ্বেগ জানিয়ে নেতারা বলেন, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে আরও উদ্বেগজনকভাবে উঠে এসেছে যে গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে একটি পার্শ্ববর্তী দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা ছিল। এই বিষয়টি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি এক গভীর হুমকি।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img