জেলেদের ভিজিএফ চাল চুরির দায়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুকে আবারও বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মাদ ইফতেখার আলম চৌধুরী স্বাক্ষরিত আদেশ বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় পৌঁছে। এ আদেশে চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, সরকারের সাড়ে ২৭ হাজার কেজি চাল আত্মসাতের দায়ে ১৬ এপ্রিল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর উপসহকারী পরিচালক আরিফ হোসেন বাদী হয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বলা হয়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ৬নং কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু ৫৫০ জন জেলে পরিবারের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ভিজিএফের চাল স্থানীয় ট্যাগ অফিসারকে না জানিয়ে উপকারভোগীদের ৮০ কেজি চালের পরিবর্তে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এভাবে তিনি ৫৫০টি পরিবারের ২৭ হাজার ৫০০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন; যার সরকারি মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা। এজন্য তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল চাল চুরির অভিযোগে চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করে। প্রায় তিন মাস বরগুনা কারাগারে থাকার পর ১০ জুন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান পল্টু। এ সময় ওই চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত হন।
এরপর ২২ জুলাই বরখাস্ত আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন পল্টু। ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল করলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে পুনরায় হাইকোর্টে আপিলের আবেদনের আদেশ দেন। পুনরায় হাইকোর্টে আবেদন করেন পল্টু। কিন্তু হাইকোর্ট তার সাময়িক বরখাস্ত বহাল রেখে আদেশ প্রদান করেন।
পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু চাল বিতরণে ব্যাপকভাবে অনিয়ম করেছেন। তার এলাকায় বরাদ্দকৃত ৪৪ মেট্রিক টন চালের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণের সঠিক প্রমাণ দিতে পেরেছেন। বাকি সাড়ে ২৭ মেট্রিক টন চাল বিতরণের কোনো সঠিক প্রমাণ দিতে পারেননি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু।