দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও এখন সেই দায়িত্ব থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে আসছে আমেরিকা। ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের প্রতিরক্ষা কৌশল নতুনভাবে সাজানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। আর তাই নতুন বন্ধু খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবার ইইউ-বহির্ভূত দেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
এই প্রেক্ষাপটে, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট। দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক টানাপোড়েন পেরিয়ে এবার নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ন্যাটোর মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্ক রুটের বক্তব্যটি এমন একটি সময়ে এসেছে, ঠিক যখন ন্যাটো থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে নিতে যাচ্ছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে রাশিয়ার সাথে জোট বাঁধতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ নতুন একটি পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। যেখানে ন্যাটো বহির্ভূত দেশগুলোর সাথে সামরিক জোট গড়ে তোলা হবে। তারা এই পরিকল্পনার নাম দিয়েছেন ইচ্ছুকদের জোট।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্য হতে ব্যাপকভাবে আগ্রহী তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে বলেছেন, একমাত্র তুরস্কই পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অচলাবস্থা থেকে রক্ষা করতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্য হতে চাইলেও ‘ইচ্ছুকদের জোটে’ যুক্ত নাও হতে পারে তুরস্ক।
সূত্র: ফিনান্সিয়াল টাইমস