বাধ্যতামূলক টিকা’সহ সাম্প্রতিক বিধিনিষেধের প্রতিবাদে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ-সহিংসতায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গ্রিস। দেশটিতে ২২ হাজারের বেশি মানুষ এ সহিংস বিক্ষোভে অংশ নেয়। এসময় বিভিন্ন স্থানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড, ককটেলসহ অসংখ্য বিস্ফোরক ছুড়ে মারে বিক্ষোভকারীরা। জবাবে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনী।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গ্রিসের রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে শনিবার গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালোনিকিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিসের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। ওইদিন শহরটিতে বিক্ষোভ শুরু করেন টিকাবিরোধীরা। অন্তত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। গ্রিসে টিকা বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় গত জুলাই মাসে, যখন দেশটির সরকার টিকার সব স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সিং হোম কর্মীদের জন্য করোনা টিকার ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে। পরে এই তালিকায় শিক্ষকদেরও যুক্তকরা হয়।
টিকার ডোজ না নেওয়ার কারণে গত ১ সেপ্টেম্বর প্রায় ৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর বিক্ষোভের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। গতকাল শনিবারের বিক্ষোভ সম্পর্কে এক বিবৃতিতে গ্রিসের স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠন পোয়েডিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা টিকার পক্ষে আছি, কিন্তু তা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে নই।