সিরিয়ায় আইনের প্রধান ভিত্তি হিসেবে ইসলামিক আইনশাস্ত্রকে রাখা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতাও অক্ষুন্ন রাখা হবে। দেশটির নতুন সংবিধানের একটি খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এই খসড়া সংবিধানে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শার’আ আল-জুলানী।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত সপ্তাহে নতুন সংবিধানের ৪৪টি আর্টিকেল পড়ে শোনান একজন আইন বিশেষজ্ঞ। তাকে প্রেসিডেন্ট আহমৎদ আল শার’আ নিয়োগ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট স্বৈরচরী বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সুন্নি মুজাহিদদের সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম। সংগঠনটির প্রধান বর্তামান দেশটির প্রেসিডেন্ট আমহদ শার’আ ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমে আসাদ আমলের সংবিধান বাতিল করেন। এছাড়া যেসব সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার ব্যবস্থা করেন। তার নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে সেটি আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে। এরপর সেখানে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। বর্তমানে সিরিয়াকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
সূথ্র: রয়টার্স