রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫

কিসাস হিসেবে ৪ হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করল আফগানিস্তান

কিসাস হিসেবে ৪ হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইমারাতে ইসলামীয়া আফগানিস্তান সরকার। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধান বিচারপতি মাওলানা আবদুল হাকিম হাক্কানীসহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) আদালতের রায়ের ভিত্তিতে আফগানিস্তানের বাদগিস, ফারাহ ও নিমরোজ প্রদেশে এই ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসরণ ও আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার অনুমতির পর এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আফগান সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই শাস্তিকে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী কিসাস হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র আবদুল রহিম রশিদ জানান, ৪ জন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বাদঘিস প্রদেশের রাজধানী ক্বালাএ-নাও-তে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানি, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

জানা যায়, তিনটি বিচারিক স্তরের প্রতিটি স্তরেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এই চারজন। এরপর আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার চূড়ান্ত অনুমোদনের ভিত্তিতে কিসাস কার্যকর করা হয়। সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ অনুযায়ী অতিরিক্ত সতর্কতামূলক পর্যালোচনাও সম্পন্ন করা হয়। এতে ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষমা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এই ক্ষমা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর শরীয়াভিত্তিক কিসাস কার্যকর করা হয়।

এই ঘটনার মাধ্যমে আফগান-প্রশাসন স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে, ইসলামী আইন অনুসারে বিচার নিশ্চিত করাই তাদের অঙ্গীকার।

আফগানিস্তানের অধ্যাপক ফজল হাদি ওয়াজিন বলেন, সমাজে এই ধরনের নিকৃষ্ট হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে অবশ্যই কিসাসের মতো শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলের কোনও চাপের সামনে মাথানত করবে না আফগানিস্তান। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইসলামী শরীয়াহ নিয়ে নেতিবাচক অপপ্রচার না চালানোরও আহ্বান জানানো হয় আফগান সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে।

spot_imgspot_img

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img