জাতিসংঘ, ইউনিসেফসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর চোখ ও বিবেক গাজ্জায় গিয়ে তালাবদ্ধ হয়ে যায় উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আগামীর পৃথিবীতে মানবাধিকারের কোনো বক্তব্য দেওয়ার আগে গাজ্জার চিত্রটি সামনে আনবেন। সেই ইস্যুতে আপনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে পুরো পৃথিবীর মানুষের সামনের মানবাধিকারের জ্ঞান দেওয়ার মতো মুখ আপনার নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সারা বিশ্বেই ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এই যে বর্বরতা, এই যে গণহত্যা চলছে- এটি যদি চলতে দেওয়া হয়, তবে তা কিন্তু শুধু গাজ্জায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। একদিন এটা পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে। এটা শুধু মুসলিমকেন্দ্রিক নয়। যারা রক্তপিপাসু তাদের স্বার্থের প্রয়োজনে অন্য ধর্মের মানুষেরও রক্ত ঝরাবে।’
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাগর ইসলামের কবর জিয়ারতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সহযোগীদের হাতে গাজ্জায় গণহত্যার রক্ত লেগে আছে। ঢাকায় মার্চ ফর গাজ্জায় আমরা দেখেছি লাখ লাখ মানুষ দল-মতনির্বিশেষে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পুরো বিশ্বকে একটি বার্তা দিতে চাই- ফিলিস্তিনের গাজ্জায় মজলুম মুসলিম ভাইদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা গণহত্যা। এই গণহত্যার রক্তের দাগ তা নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে। তাকে যারা সহায়তা করছে- সেই সব ব্যক্তি, দেশ বা প্রতিষ্ঠানের গায়েও ফিলিস্তিনিদের রক্ত লেগে আছে। জাতিসংঘ, ইউনিসেফসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বড় বড় লেকচার দেয়; কিন্তু তাদের মানবাধিকারের চোখ, বিবেক সবকিছু ওই গাজ্জায় গিয়ে তালাবদ্ধ হয়ে যায়।’