৩য় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ৬ষ্ঠ দফার বন্দী বিনিময়ে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের বর্ণবাদী টি-শার্ট পড়তে বাধ্য করায় গাজ্জা গণহত্যা পরিচালনাকারী বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের তীব্র নিন্দা জানালো ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এবিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের বীরত্বের পরিচয় দেওয়া বন্দীদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। তাদের বর্ণবাদী টি-শার্ট পড়তে সহিংসভাবে বাধ্য করা হয়েছে। যা মানবিকতা ও আইন দুটোরই সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা কঠোরভাবে এর নিন্দা জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ফিলিস্তিনি বন্দীদের সাথে তাদের এই আচরণ ইসরাইলী বন্দীদের সাথে হামাসের আচরণ ও নৈতিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত। তাদেরকে অবশ্যই বন্দীদের সাথে মানবিক আচরণ করতে হবে। চুক্তি নীতি অনুসারে তারা একাজ করতে পারে না। তাদের অবশ্যই বন্দী বিনিময়ের নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ৩ ইসরাইলী নাগরিকের বিপরীতে আজ ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি লাভ করে। তন্মধ্যে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ৩৩৩ জন গাজ্জায়, ৮ জন পশ্চিম তীরে ও ৪ জন পবিত্র কুদস নগরীতে ফিরে যান। বাকি ২৪ জন ফিলিস্তিনির মিশরে নির্বাসিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রস মারফত ফিলিস্তিনি বন্দীদের রামাল্লায় নিয়ে আসা হলে বন্দী বিনিময়ে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের দাউদী তারকার চিহ্ন সম্বলিত সাদা টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। মুক্তি পাওয়া বন্দীরা জানান, তাদের এমন অপমানজনক টি-শার্ট পরিধান করতে বাধ্য করেছে জায়োনিস্ট ইসরাইল। যেখানে দাউদী তারকা চিহ্নের নীচে আরবিতে লেখা ছিলো, আমরা ভুলবো না এবং ক্ষমা করবো না।
এছাড়া বিভিন্ন ভিডিওতে, স্বজনদের কাছে ফিরে আসার পর বন্দীদের এসব টি-শার্ট খুলে ফেলতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে তারা টি-শার্টগুলো জড়ো করে জ্বালিয়ে দেয় এবং অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
সূত্র: আল জাজিরা









