২০২৪ সালে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে ঘৃণাত্মক বক্তব্য বেড়েছে ২৭০ শতাংশ। যার ৯৬ শতাংশ দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এসব বক্তব্যের এক তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশ দিয়েছেন স্বয়ং দেশটির উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ভারতে মোট ৩৩টি ঘৃণাত্মক বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। তবে ২০২৪ সালে তা বেড়ে ১২২ এ দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) মুম্বাই ভিত্তিক সেন্টার ফর স্টাডি অফ সোসাইটি এন্ড সেক্যুলারিজম (সিএসএসএস) থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২২টি ঘৃণাত্মক বক্তব্যের ৯৬ শতাংশ মুসলিমদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে। এসব বক্তব্য দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পার্লামেন্ট সদস্য ও ক্যাবিনেট মিনিস্টার থেকে শুরু করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া শিখ ও দলিতদের উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয়েছে ০.৮ শতাংশ বা দুটি বক্তব্য।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে এমন ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রার্থীরা। এতে তাদের ভোটব্যাংক বৃদ্ধি পায়।
উল্লেখ্য, মুসলিমদের বিরুদ্ধে দেওয়া এসব ঘৃণামুলক বক্তব্যের মোট ৩১ শতাংশ এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। এছাড়াও উগ্র হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে ২৩টি, ঝাড়খণ্ডে ৯টি, পশ্চিমবঙ্গে ৮টি, আসাম ও বিহারে ৭টি ও গুজরাটে ৬টি ঘৃণাত্মক বক্তব্যের রেকর্ড করা হয়েছে। বাকি ঘৃণামূলক বক্তব্য এসেছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, ভারতের দখলকৃত কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও ছত্তিশগড় থেকে।
সূত্র: ক্লারিয়ন ইন্ডিয়া