চলতি মাসের শুরুতে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিধর দেশ ইরান। ধারণা করা হচ্ছিল এর প্রতিশোধে নিতে তেহরানের পরমাণু অথবা তেল ক্ষেত্রে আক্রমণ করবে ইসরাইল।
তবে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গেছে, পরমাণু অথবা তেল ক্ষেত্র নয়, বরং ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাবে ইসরাইল।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুইজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এমনটিই জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দৈনিক পত্রিকা দি ওয়াশিংটন পোস্ট।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের হামলার প্রতিশোধের বিষয়ে গত সপ্তাহে একটি ফোনালাপ করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ফোনালাপে ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে বলে বাইডেনকে অবগত করেছেন নেতানিয়াহু।
একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এই আক্রমণের পরিকল্পনা এমনভাবে সাজিয়েছেন যেন এর বিন্দুমাত্র প্রভাব আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে না পড়ে। যেমন জ্বালানি ক্ষেত্রে হামলা চালালে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। যা নিঃসন্দেহে মার্কিন ভোটারদের করবে অখুশি করবে। ফলে কামালা হ্যারিসের জয়ের সম্ভাবনা কমতে পারে।
উল্লেখ্য, হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসারুল্লাহ, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ ও ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের কমান্ডারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ১৮০ টি মিসাইল নিক্ষেপ করে তেহরান। এসব মিসাইলের আঘাতে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তেল আবিব। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সংবাদমাধ্যমগুলো।
সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল











