গাজ্জায় যুদ্ধবিরতি হলেও গণহত্যা মামলা থেকে সরে না আসার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজ্জায় যুদ্ধবিরতি হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা মামলা থেকে সরে না আসার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে একথা বলেন।
গাজ্জায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ট্রাম্প কর্তৃক মিশরে সাক্ষরিত চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যে শান্তি চুক্তি হয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) বিচারাধীন মামলার উপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি চলমান রয়েছে এবং এটিকে এমন পর্যায়ে যেতে হবে যেখানে ইসরাইলকে আদালতে দাখিল করা আমাদের আবেদনের জবাব দিতে হবে। আর তা সামনের জানুয়ারির মধ্যেই করতে হবে।
এছাড়াও তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, প্রকৃত নিরাময়ের জন্য মামলাটির যথাযথ শুনানি প্রয়োজন। ইসরাইলের নিরাময় (শাস্তি) ছাড়া আমরা এগিয়ে যেতে পারবো না। আর এটি তাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া মামলার যথাযথ শুনানির মধ্যদিয়ে ঘটবে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজেতে) গণহত্যার মামলা দায়ের করে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।
দেশটি আদালতে ২০২৪ সালের অক্টোবরে অবৈধ রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে বিস্তারিত বিবরণ ও প্রমাণ সহ ৫০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্রও দাখিল করে, যার জবাব বা পাল্টা যুক্তি ১২ জানুয়ারী, ২০২৬ এর মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এর চূড়ান্ত রায়ের জন্য ২০২৭-২০২৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
আইসিজে এই মামলার প্রেক্ষিতে তিনটি অস্থায়ী ব্যবস্থা জারি করেছে, যেখানে ইসরাইলকে গণহত্যা বন্ধ করার এবং গাজ্জায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আমেরিকার আশকারায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্রটি তার তোয়াক্কা না করে তাদের ধ্বংসযজ্ঞ, মানবিক ও খাদ্য সহায়তা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও গণহত্যা অব্যাহত রাখে।
গাজ্জা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইল ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।