শনিবার, মে ১৭, ২০২৫

আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করতে হবে : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

spot_imgspot_img

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনাসংক্রান্ত সরকারের চুক্তি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থেই আদানি গ্রুপের সাথে কৃত চুক্তি বাতিল প্রয়োজন। সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জাতীয় মিডিয়াগুলোতে অভিযোগ উঠেছে, বেশি দাম দিয়ে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের কয়লা কেনা হচ্ছে। ভারতের আদানি গ্রুপের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার জন্য বাংলাদেশকে যে দাম দিতে হচ্ছে, তা অন্য যেকোনও বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে অনেকটাই বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানি যেখানে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। তারা ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাবে এক লাখ ২৬ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আনতেও বিশাল ব্যয় গুনতে হবে বাংলাদেশকে।শুধু কয়লার জন্যই দিতে হবে ৪৫ শতাংশ বেশি মূল্য। সব অর্থই পরিশোধ করতে হবে মার্কিন ডলারে। তথ্য গোপন করে বাংলাদেশের সঙ্গে এই ভয়াবহ বৈষম্যমূলক চুক্তি করেছে ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেড। অথচ এই প্রকল্পে বাংলাদেশের ক্যাপাসিটি চার্জ ও কয়লা আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ার কথা ছিল, বাস্তবতা পুরোপুরিই ভিন্ন। সব মিলিয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি দামে আদানি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে বাংলাদেশকে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের করা বিদ্যুৎ চুক্তিটি বৈষম্য ও প্রতারণামূলক। কাজেই এই প্রতারণা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চরম সংকটে দিনাতিপাত করছে। আর আদানির সঙ্গে সরকার যে চুক্তি করেছে, সেটি আত্মহত্যার শামিল। অনেক বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই বলেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর আগে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যে কয়লার দাম ধরিয়ে দিয়েছে, তা দেশের অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাহাজভাড়াসহ গোড্ডায় ব্যবহৃত কয়লার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ২০০ ডলার, আর তারা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে ৪০০ ডলারে বিক্রি করতে চাইছে।

তিনি আরও বলেন, লুটেরাদের পকেট ভারী করার জন্য এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে সীমাহীন চুরি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সরকারের আত্মঘাতী ভুল পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে এখন জনগণের উপর এসব অপকর্মের দায় চাপানো হচ্ছে। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ করতে হবে অন্যথায় প্রতিবাদের আগুন সর্বত্র জ্বলে উঠবে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img