তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, “মানবিক কূটনীতির পতাকা আজ তুরস্ক বহন করছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার কূটনৈতিক প্রয়াসে আজ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে তুরস্ক।”
শুক্রবার (১৬ মে) ইস্তানবুল বাস্কেটবল উন্নয়ন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘ইস্তানবুল যুব উৎসব’–এ তরুণদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাস, সহিংসতা ও ভয়ভীতি ছাড়িয়ে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ ও অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই অভিশাপ থেকে আমাদের জাতি ও রাষ্ট্রকে স্থায়ীভাবে মুক্ত করতে আমরা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।”
এরদোগান বলেন, “আমরা এমন একটি তুরস্ক গড়তে চাই, যেখানে সন্ত্রাসের কোনও স্থান থাকবে না। কেউ যদি চায় রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন জোট (কুমহুর ইত্তিফাক) ব্যর্থ হোক, শুধু যেন সন্ত্রাস চলতেই থাকে, তবে তা তাদের হীনলালসার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমরা এখন স্থায়ীভাবে এই সন্ত্রাস থেকে মুক্তি চাই, আর এটি আমরা করবোই।”
তিনি আরও বলেন, “‘সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক’ হবে ‘তুর্কি শতাব্দী’র এক অন্যতম ভিত্তিপ্রস্তর। এই ঐতিহাসিক অর্জন আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে উপহার দিতে চাই।”
এরদোগান বলেন, “আমরা, প্রেসিডেন্ট র নেতৃত্বাধীন জোট হিসেবে, পূর্ণ ঐক্য ও সহযোগিতায় সন্ত্রাস নির্মূল করছি এবং তুরস্ককে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে।”
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, “যারা নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে তরুণদের ঢাল বানায়, যারা তাদের উসকে দিয়ে রাস্তায় নামার পরামর্শ দেয়, তারা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হবে। তরুণদের উত্তেজিত করে যারা দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যেতে চায়, তারা নিজেদেরই ধ্বংস ডেকে আনছে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগিরই আমরা তুরস্ককে সন্ত্রাস নামক ৪০ বছরের এক বিশাল বোঝা থেকে চিরতরে মুক্ত করব। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা সবাই একসাথে কাজ করব।”
সূত্র :আনাদোলু এজেন্সি