প্রাণপণ চেষ্টা সত্ত্বেও সিরিয়াতে মার্কিন সৈন্যদের আটকে রাখতে পারেনি ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। আগামী দুই মাসের মধ্যে সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে ওয়াশিংটন বলে ইসরাইলকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সাথে বৈঠক চলাকালীন সময়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে নতুন সিরিয়ায় তুরস্কের কৌশলগত প্রভাব এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে যাচ্ছে। তুরস্কের এমন শক্ত অবস্থান নিঃসন্দেহে ইসরাইলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আর তাই নিরবে-নিভৃতে ইসরাইল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে কোনভাবেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে না যায়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ইসরাইলের বহুল আলোচিত অনলাইন পত্রিকা ওয়াইনেট-এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-এরদোগান বৈঠক চলাকালীন সময়, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের বার্তা প্রদান করে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের মতো পদক্ষেপ ঠেকাতে চেষ্টা করলেও, ওয়াশিংটন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তবুও, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এখনো হাল ছাড়ছেন না এবং বাইডেন প্রশাসনকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন-ইসরাইল আলোচনার সময়ে নতুন সিরিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরাইল।
প্রসঙ্গত, অবৈধ রাষ্ট্রটির ধারণা, এতে করে সিরিয়াতে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী অবস্থান নেবে তুরস্ক, যা ইসরাইলের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, এই পরিকল্পিত প্রত্যাহার কোনো চমক নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বারবার বলেছেন, “এটি আমাদের যুদ্ধ নয়।” গত কয়েক মাস ধরে এই পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওয়াশিংটন। আর এখন এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে আমেরিকা।
সূত্র: ওয়াইনেট