ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, মুফতী রেজাউল করীম আবরার ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি সিলেটের একটি আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। প্রকাশ্য রাজনীতি করা এমন একজন প্রশিদ্ধ আলেমকে গুপ্ত টিটিপির সাথে সম্পৃক্ত করা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু না। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যে ফ্যাসিবাদের দোসর এবং ষড়যন্ত্রকারী আছে তার প্রমান এই মিথ্যা মামলা।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা গজী আতাউর রহমান বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আমলে ভিন্নমত দমনে জঙ্গী সংশ্লিটতার অভিযোগ তুলে মামলা দেয়া একটি বহুল ব্যবহৃত রাজনৈতিক অপকৌশল ছিলো। জনতা এই অপকৌশলে বিরক্ত হয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শ্লোগান দিয়েছে পা চাটলে সঙ্গী-না চাটলে জঙ্গী। জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জঙ্গী মামলায় ফাঁসানো হবে এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। এটা দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র ও উস্কানির অংশ।
তিনি বলেন, অবিলম্বে মামলার এজহার থেকে মুফতি রেজাউল করীম আবরারসহ নরপরাধ আলেমদের নাম বাদ দিতে হবে। এবং যে কর্মকর্তা উদ্যেশ্যমুলক এ মামলা তার নাম করেছে তার ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিতে হবে। হয় সে অযোগ্য, না হয় সে কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।