ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের আগে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই এম.ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। বিষয়টি সামনে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তার ভর্তি সাময়িকভাবে বাতিল করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, রাব্বানীর বৈধ ছাত্রত্ব না থাকায় ওই বছরের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে তার জিএস পদে প্রার্থিতা বৈধ ছিল না। ফলে তার নির্বাচিত হওয়াটিও অবৈধ, এমন সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির এই সুপারিশ এসেছে ডাকসুতে জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাশেদ খানের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে বেশ কয়েকটি প্রার্থী ও প্যানেলের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ভোটারদের বাধা দেওয়া ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ভোট কেন্দ্রে কৃত্রিম ভিড় ও লাইন তৈরি, ব্যালটে অবৈধভাবে সিল মারা, কেন্দ্র দখল ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, অবৈধভাবে ভর্তি হয়ে প্রার্থী হওয়া, ব্যালট বাক্স নিয়ে কারচুপি।
তদন্ত কমিটি বলছে, এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও গভীর তদন্ত প্রয়োজন।