ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সম্প্রতি একটি প্রস্তাবিত তালিকা প্রকাশ করেছে যেখানে বাংলাদেশকে নিরাপদ দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় আরও ছয়টি দেশ রয়েছে; ভারত, মিশর, তিউনিসিয়া, কসোভো, কলম্বিয়া এবং মরক্কো ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, তাদের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করা দেশগুলোও নীতিগতভাবে নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
শরণার্থী বিষয়ক ইইউ কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেছেন, অনেক সদস্য রাষ্ট্রের অসংখ্য আশ্রয় আবেদন জমা পড়ে গেছে। এগুলো নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আমরা এখন সমর্থন করতে পারি।
এই তালিকার মূল লক্ষ্য হলো আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা। এই তালিকাভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের আশ্রয় আবেদন এখন থেকে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে, যা পূর্বে ছয় মাস সময় নিত। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমানো এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনা সহজতর করা সম্ভব হবে ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়া
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই তালিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক বিরোধী, এলজিবিটিআই ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর সুরক্ষা হ্রাস করতে পারে ।