সোমবার | ১৭ নভেম্বর | ২০২৫

পাক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মাসিক রপ্তানি ৪৫ মিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছে আফগানিস্তান

পাকিস্তান কর্তৃক বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মাসিক রপ্তানি ৪৫ মিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ও তথ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, (আফগান সৌর বর্ষের) মিজান মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) আফগানিস্তানের রপ্তানি আগের মাসের তুলনায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। সানবুলা মাসে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) রপ্তানির পরিমাণ ছিলো প্রায় ২৩০ মিলিয়ন ডলার, যা গত (মিজান) মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৪ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, বেশিরভাগ রপ্তানির পণ্যের ভোক্তা দেশ ছিলো তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও খোদ পাকিস্তান।

ইমারাত সরকারের ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ আফগানিস্তান ভিশন’ অনুসারে দেশী পণ্যের রপ্তানি যেমন বাড়ছে, বিদেশী পণ্য আমদানির পরিমাণও ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, মিজানে সানবুলার তুলনায় ০.০৬৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি কমাতে সক্ষম হয়েছি আমরা। সানবুলা মাসে আমদানির পরিমাণ ছিলো ১.২৩২ বিলিয়ন ডলার এবং মিজান মাসে যা হ্রাস পেয়ে হয় ১.১৬৮ বিলিয়ন ডলার।

দপ্তর মুখপাত্র হালিম রাফি বলেন, “১৪০৪ এর সানবুলায় আফগানিস্তানের মোট রপ্তানি মূল্য ছিল ২২৯.৮ মিলিয়ন ডলার। মিজানে আগের মাসের তুলনায় যা ৪৫.১ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।”

এছাড়া আফগান চেম্বার অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইভস্টক দেশীয় পণ্যের রপ্তানি আরো বাড়াতে দেশীয় পণ্য প্রক্রিয়াকরণে আরো বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।

এই প্রসঙ্গে চেম্বারের নির্বাহী পরিচালক ওয়াসিম সাফি বলেন, “শুধু প্রতিবেশী দেশগুলোতে নয়, ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে। শুরু থেকেই পণ্যগুলোকে আমাদের একটি মানসম্মত পদ্ধতিতে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করতে হবে।”

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, আফগান ব্যবসায়ীরা পাক প্রতিবন্ধকতা, চলমান ট্রানজিট ও ব্যাংকিং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও বাণিজ্যে এই প্রবৃদ্ধি নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। ইমারাত সরকারের দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় পাকিস্তানের বিকল্প পথ ও বন্দর ব্যবহার করে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: তলো নিউজ

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img