গাজ্জা পুনর্গঠনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দা প্যালেস্টাইন এনজিও নেটওয়ার্ক’ একথা জানায়।
সংগঠনটির প্রধান আমজাদ আল-শাওয়া বলেন, আজ বিধ্বস্ত গাজ্জায় আমাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি, সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোর ৬০ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষের সমাধান খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনা দল উপস্থিত হয়েছে, যা গাজ্জাবাসীর জন্য আশাজাগানিয়া।
তিনি আরো বলেন, আমরা ফিলিস্তিনিরা তাদের সাথে মিলে ধ্বংসস্তূপ অপসারণের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবক অভিযান শুরু করেছি। গাজ্জা ভালোভাবে পুন:নির্মাণের আগ পর্যন্ত আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও বলেন, আজ অভিযানের প্রথম দিনে স্বেচ্ছাসেবক ও গাজ্জার বাসিন্দাদের পাশাপাশি জাতিসংঘের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছিলেন। বেলচা ও অন্যান্য মৌলিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে তারা ধ্বংসাবশেষ অপসারণে ও পরিচ্ছন্নতায় সহায়তা করেছিলেন।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির কর্মকর্তা আলেসান্দ্রো মারাচ্চি এপ্রসঙ্গে বলেন, “আমরা আজ গাজ্জায় এসেছি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ফিলিস্তিনি সমিতি এবং চেম্বার অফ কমার্সের সাথে কাজ করেছি। আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছি। যুদ্ধের সময় যারা থেকে গেছেন এবং দক্ষিণ থেকে ফিরে এসেছেন এমন স্থানীয় সম্প্রদায়ের সকলকেই সহযোগিতা করছি। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা এবং তাদের শহরে জীবন ফিরে পেতে সহায়তা করা।”
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয় যে, গাজ্জার ধ্বংসাবশেষ ও রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তূপ অপসারণের অভিযানে সহায়তার লক্ষ্যে তারা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ট্রাক প্রেরণ করছেন।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, সর্বশেষ ট্রাম্প ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সহায়তায় গত ১০ অক্টোবর ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের মাঝে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদ ও হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও ভঙ্গুর অবস্থায় যা এখনো বহাল রয়েছে। হামাস এক্ষেত্রে ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে, যদিও ইসরাইল ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং ৬৩৫ জনকে আহত করেছে। এছাড়া ইসরাইলী সেনারা এখনো গাজ্জার ৫৩ শতাং অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে। পুনরায় যেকোনো মুহুর্তে পূর্ণমাত্রায় দখলদারিত্ব ও হত্যাযজ্ঞ শুরুরও হুমকি দিয়ে আসছে।
অপরদিকে গাজ্জা পুনর্গঠন প্রসঙ্গে সাহায্য সংস্থাগুলো জানায়, এর জন্য আনুমানিক প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন।
সূত্র: তলো নিউজ









