জামিয়াতে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান ঘোষণা করেছেন, ধর্মীয় আলেম ও পাকিস্তানি রাজনীতিকদের অংশগ্রহণে কারাচিতে ‘মজলিসে ইত্তেহাদে উম্মত’ শীর্ষক একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, বৈঠকে আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান সমস্যাগুলো মোকাবিলায় সম্মিলিত কৌশল প্রণয়নের বিষয়টিও আলোচ্যসূচিতে থাকবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তোলো নিউজ।
মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, “আমরা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে আরও ভালো সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে তা সমাধান করতেই হবে। যারা আমাদের বন্ধু, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও জোরদার করা উচিত। আর যেখানে অভিযোগ ও অসন্তোষ রয়েছে, সেখানে সেগুলোর সমাধানে কাঠামোগত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
অন্যদিকে, জার্মানিতে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল বাসিত বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে কেবল আঞ্চলিক কাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; এর বাইরে গিয়েও বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে।
তার মতে, উভয় পক্ষ যদি ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, তাহলে দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে একাধিক বিকল্প পথ বিদ্যমান রয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুল বাসিত বলেন, “আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার জন্য পাকিস্তানকে আঞ্চলিক ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে পথ খুঁজতে হবে। কৌশলগত ধৈর্য এবং ট্যাকটিক্যাল বিচক্ষণতা বজায় রাখলে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বিকল্প সামনে আসে।”
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এনায়াতুল্লাহ হাম্মাম বলেন, পাকিস্তানের ধর্মীয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ আফগানিস্তানের ইসলামী আমিরাত ও আফগান জনগণের প্রতি গভীর সহানুভূতি পোষণ করে। তার ভাষায়, সংস্কৃতি, ধর্ম এবং অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন গড়ে উঠেছে।
আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফজলমিনাল্লাহ মুমতাজ বলেন, পাকিস্তানি রাজনীতিকরা চলমান সংকটের গভীরতা ভালোভাবেই বোঝেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ উভয়ই উপলব্ধি করে যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ কোনো দেশেরই স্বার্থে হবে না।
এই প্রেক্ষাপটে দুই পাকিস্তানি রাজনৈতিক বিশ্লেষকই দুই দেশের মধ্যকার সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজার ওপর জোর দিয়েছেন। তাদের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন এর আগে আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছিলেন যে পাকিস্তানের কিছু সামরিক মহল কাবুল-ইসলামাবাদ সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
সূত্র: তোলো নিউজ










