ভারতে হোলি উৎসবে মসজিদ ঢেকে দেয়া, কুকি চিন নারীদের ধর্ষণ, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ভারতে মুসলমানদের উপরে নির্যাতন বন্ধ ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে ভারতে বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভারত নিজেই তাদের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। তারা মুসলমানদের রক্ত দিয়ে হোলি উৎসব করে। এমনকি তারা হোলি করতে গিয়ে মসজিদকে পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়। তাদের রং মাখানোতে বাধা দেওয়ায় মুসলমানদের ওপর হামলা করে। তারা উগ্রবাদীদের লালন করে আর আমাদের অসাম্প্রদায়িক হওয়ার জ্ঞান দেয়।
আমরা বলতে চাই, ভারত বা বাংলাদেশের অনেকেই বলে এ দেশে নাকি সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়। আপনারা বলতে পারবেন কোথায় অন্য ধর্মাবলম্বীদের জোর করে কিছু করানো হয়? রাস্তাঘাটে তাদের হেনস্তা করা হয় বলতে পারবেন? যারা এসব বলে তারা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে অপদস্থ করতে চান। ৫ আগস্টের পরে এসব সুশীলতা বাংলাদেশে আর চলবে না।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান বিন হাদী বলেন, ভারত যদি তাদের মাইনরিটি নিরাপত্তা দিতে না পারে, কুকি চিন নারীদের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে তাদের দেশের ম্যাপ আজীবন এমন থাকবে সেটা বলা যায় না। ভারত যদি মাইনরিটির নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে তাদের প্রতিবেশিরাই ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের শিকড় উপড়ে ফেলবে। ভারতে সংখ্যালঘুদের যেমন জীবন চলছে পৃথিবীর আর কোথাও সংখ্যালঘুরা এমন মানবেতর জীবন কাটায় না। আমরা ভারতে মুসলিম, বুদ্ধ, খ্রিষ্টান, হরিজন দলিতদের নিরাপত্তা কামনা করছি।
তিনি বলেন, ভারত মুসলমানদের স্থাপনা উচ্ছেদ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমারের সীমানা পরিবর্তন করে রাম রাজ্য কায়েম করতে চায়। ভারতে খ্রিস্টানদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয় কিন্তু ভারত বলে চট্টগ্রামে নাকি হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে ২০১৫-১৮ সাল পর্যন্ত শুধু গরু খাওয়ার অপরাধে ৪৪ জন মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। মুসলিমদের শূকর হারাম তবুও মানুষ শূকর চাষ করে থাকে। কিন্তু সেখানে তো কাউকে হামলা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ভারত আমেরিকা ও জাতিসংঘকে বুঝাতে চায় এ দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়ে থাকে। আমরা যদি ভারতের বিরুদ্ধে ডকুমেন্টস দেখাতে যাই সেটা শেষ হবে না। আপনারা যদি ভারতীয় মুসলিম ও অন্য ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা না দিতে পারেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন তাহলে এ দেশের ২০ কোটি মানুষের লড়াই চলবে।
এসময় আজকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করতে ভারতকে অ্যাকশন নিতে বিবৃতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।