গাজ্জায় চলমান আগ্রাসনে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সহায়তা করার বিষয়টি স্বীকার করেছে মাইক্রোসফট।
প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, জিম্মি উদ্ধার এবং গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে এই সহায়তা করা হয়েছে। তবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজ্জায় সরাসরি হামলা বা সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি মাইক্রোসফটের করপোরেট ওয়েবসাইটে একটি স্বাক্ষরবিহীন ব্লগ পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, কর্মীদের উদ্বেগ এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সামনে আসায় তারা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছে এবং একটি বাইরের সংস্থাকে অতিরিক্ত তথ্য অনুসন্ধানের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। তবে তারা সেই সংস্থার নাম বা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
মাইক্রোসফট আরও জানায়, হামাসের হাতে ইসরাইলি জিম্মিদের উদ্ধারের চেষ্টায় বাণিজ্যিক চুক্তি সীমার বাইরে কিছু প্রযুক্তি এবং জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে ইসরাইলকে।
তবে মাইক্রোসফট এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি, তাদের প্রযুক্তি ইসরাইলি সেনাবাহিনী কীভাবে ব্যবহার করেছে এবং মাইক্রোসফট কিংবা তাদের নিযুক্ত বাইরের তদন্তকারী সংস্থা আদৌ ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা।
প্রতিষ্ঠানটির এই স্বীকারোক্তির প্রায় তিন মাস আগে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী বেসরকারি এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ২০০ গুণ বাড়িয়েছে এবং এতে মাইক্রোসফটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এ ধরনের এআই প্রযুক্তি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি তৈরি করে এবং এতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।