আমেরিকার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইরান ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আলোচনার পথ এবং সামরিক হামলা, উভয় বিকল্পই বিবেচনায় রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, “ইরান নিয়ে ট্রাম্প কী করবেন, তা কেউ জানে না। আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা, একটি হচ্ছে আলোচনায় বসা, আরেকটি হচ্ছে সামরিক হামলা চালানো।”
বিশেষ করে ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের হামলা চালানোর আগে এর পরিণতি ও ইরানের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইরান এবং এ অঞ্চলে তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। তারা যদি চায়, তাহলে আমাদের বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালাতে পারে। আমাদের অনুমান, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর হামলা চালায়, তাহলে ইরান ও তার মিত্ররা আমাদের বাহিনীকে আক্রমণ করবে।”
এই সম্ভাব্য সংঘাতের প্রেক্ষিতে তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি বলেন, “বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড’ পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অচিরেই ভূমধ্যসাগরের ষষ্ঠ নৌবহরে যোগ দেবে। এই রণতরী ও তার স্ট্রাইক গ্রুপ আমাদের বাহিনীকে সুরক্ষা দেবে এবং প্রতিরোধক্ষমতা আরও বাড়াবে।”
তবে তিনি নিশ্চিত করেন, “এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ‘বি-টু’ বোমারু বিমান মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হয়নি।”
ইসরাইল-ইরান সংঘাত নিয়ে তিনি বলেন, “ইসরাইল বেশিরভাগ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পেরেছে, তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।”
সূত্র : আল জাজিরা