ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের কথা উঠলেই কেউ কেউ ভয় পায়। কারণ, এই পদ্ধতি চালু হলে চাঁদাবাজি, ভোটডাকাতি, দলীয়করণ ও বিদেশে অর্থ পাচার-এসব বন্ধ হয়ে যাবে। যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা আজও যৌক্তিকভাবে কোনো অসুবিধা তুলে ধরতে পারেনি। যে নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট, খুঁনি, চাঁদাবাজ তৈরী হয় এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আমরা দেখতে চাইনা।’
আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে ‘জুলাইয়ের শিক্ষা, নীরবতা মানে গোলামী’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেব।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কানে এখনও বাজে মুগ্ধের‘পানি লাগবে পানি’। আবু সাঈদের মতো নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। মায়েদের বুকফাটা কান্না আমরা সহ্য করতে পারিনি। এই নির্মমতা ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একমাত্র আমরাই রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মাঠে নেমেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য সংগ্রাম করছি। রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার চাই। কিন্তু একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেন উন্মাদ হয়ে উঠেছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ,
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা কে এম আতিকুর রহমান ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হোসাইন নূর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, তথ্য-গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক এস এম কামরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাইমুন ইসলাম প্রমূখ।