শনিবার | ১৯ জুলাই | ২০২৫

জুলাই আন্দোলনের পটভূমি ও মাঠ তৈরি করেছেন আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান : রিজভী

spot_imgspot_img

জুলাই আন্দোলনের পটভূমি, আন্দোলনের মাঠ তৈরি করেছেন আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়ে জানিয়ে দিয়ে গেছে এই দেশ ফ্যাসিস্টদের না। এই দেশ দানবদের নয়। এই দেশ রক্ত পিপাসুদের নয়। বেগম জিয়া বাইরে থাকা মানে হাসিনার বিপদ, দেশের মানুষের স্বাধীনতা। সেজন্যই তাকে বন্দি করে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। ১৬ বছর পর ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসলো। এই আন্দোলনের পটভূমি এই আন্দোলনের মাঠ তৈরি করেছেন আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান। তিনি সকল নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনই হবে গণতন্ত্রের ফাইনাল খেলা। এই চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত শোক র‌্যালি পূর্ববর্তী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্ররা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন মার্চ ফর গোপালগঞ্জ। এই ঘোষণার কথা শুনে হাসিনা তার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন- যারা গোপালগঞ্জ যাবে তাদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবে। এই কারণে এনসিপির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের লড়াই। কিন্তু সেই লড়াইয়ের মধ্যে কেন আজ বিভেদ? এককভাবে কিছু করা যায় না। সম্মিলিতভাবে আমাদের শক্তি যা ছিল সেটি প্রদর্শন করলে কোনো পতিত স্বৈরাচার সাহস পেত না কিছু করার জন্য। কিন্তু আজকে বিএনপিকে টার্গেট করে নানান অপপ্রচার, কুৎসা দিয়ে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করছেন। কিছু লোক অপপ্রচার চালালেন বিএনপির বিরুদ্ধে। দশ হাজার মাইল দূরে তারেক রহমান, তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আপনারা সরকারকে কিছু বলেন না, প্রশাসনকে কিছু বলেন না। সন্ত্রাসীদের ধরবে কে, রাজনৈতিক দল নাকি পুলিশ? তাদেরকে কিছু না বলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কেন আপনারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। উদ্দেশ্যতো ভালো নয়। আপনাদের উদ্দেশ্য যদি ভালো হতো তাহলে পতিত স্বৈরাচার সাহস পেত না।

তিনি আরও বলেন, হাসিনা বাংলাদেশ চায় না। এদেশের শান্তিও চায় না, গণতন্ত্র চায় না, কথা বলার স্বাধীনতা চায় না। ও চায় রক্ত, ও চায় রাজত্ব, ও চায় রাষ্ট্র ও চায় লাশ। সে বাংলাদেশকে মনে করে সোনার খনি। সেই খনি তার ছেলেমেয়ে, ভাগিনা-ভাগনি, বোনসহ আত্মীয়-স্বজন মিলে পাচার করেছে। বাংলাদেশের ইঁদুরের গর্ত থেকে শেখ হাসিনার সম্পত্তি বেরিয়ে আসছে একটার পর একটা।

রিজভী বলেন, সোনার ছেলেরাই গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। নিরীহ মানুষকে ভাতের অধিকারের পরিবর্তে সন্ত্রাসী পরিবেশ উপহার দিচ্ছে ওই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তাদের বুঝতে হবে মানুষ এখন আর রক্ত চক্ষুকে ভয় পায় না। তারা জানে কীভাবে লড়াই করে বাঁচতে হবে। এদেশের মানুষ রক্ত দিতে জানে, ঠিক তেমনি রক্ত নিতেও পারে। তাই সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। ৫ আগস্টের মতো অভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিন।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img