২০২৩-এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানী, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার টার্ম, পৌত্তলিক ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, প্লেজারিজম এবং ধর্ম ও জাতি সত্বাবিরোধী বিষয়বস্তু সংযাজন বাতিল, ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন। আগামী শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাসহ সারাদেশের থানা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ অঞ্চলের হাজার বছরের চর্চিত সংস্কৃতি। প্রত্যেক ধর্মেরই আলাদা আলাদা রীতি-নীতি ও সংস্কৃৃতি রয়েছে। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণীর ঊহমষরংয ঋড়ৎ ঞড়ফধু বইয়ের ১৩৫-১৪৮ পৃষ্ঠা গল্পে চার ধর্মের চার বন্ধুর কাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে ; যেখানে প্রত্যক বন্ধুর প্রধান ধর্মীয় উৎসবে অপর সকল বন্ধুদের দাওয়াত দিয়ে একসাথে উদযাপনের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি সৌহার্দ্যপূর্ণ মনে হলেও এমন গল্পের মাধ্যমে প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠানের স্বাতন্ত্রতা ও নিজস্বতা বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কারণ ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মাঝে পরস্পর সাংঘর্ষিক অনেক বিষয় আছে। যার মাধ্যমে প্রত্যেকেরই ধর্মীয় বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, ধর্মীয় সম্প্রীতি শেখানোর জন্য সকলের ধর্ম ও বিশ্বাস বিনষ্ট করার কোন অর্থ হয় না। বরং যার যার ধর্ম ও বিশ্বাস যথাযথ জায়গায় রেখেই ধর্মীয় সম্প্রতি রক্ষা করা যায়। যার উদাহারণ আমরা বাঙালীরা হাজার বছর ধরে প্রদর্শন করে আসছি। ফলে এই ধরণের বিষয় পাঠ্যসুচি থেকে বাদ দিতে হবে।
সংগঠনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।