ভারত দেশে দেশে রাজনৈতিক প্রতিনিধি পাঠিয়ে যুদ্ধপরাধ আড়ালের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সর্বদলীয় জোট সংস্থা ‘অল পার্টিস হুররিয়াত কনফারেন্স’ (এপিএইচসি)।
সোমবার (১৯ মে) কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের খবরে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, এপিএইচসি মুখপাত্র অ্যাডভোকেট আব্দুল রশিদ মিনহাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারত বিভিন্ন দেশে তার রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে নিজেদের যুদ্ধাপরাধ লুকানোর চেষ্টা করছে।
ভারতের পাল্লায় না পড়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভারত দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর একটি বিতর্কিত অঞ্চল। বিশ্বের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো কাশ্মীর বিরোধ সমাধানের জন্য এগিয়ে আসা, যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে শান্তি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে।
দখলকৃত অঞ্চলটির অবনতিশীল পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ব্যাপকভাবে ঘর তল্লাশীর অভিযান চালানো হচ্ছে। ভারতীয় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এক্টিভিস্ট সহ হাজার হাজার কাশ্মীরীকে গ্রেফতার করছে। তাদের কালো আইনের অধীনে বিভিন্ন কারাগার ও থানায় আটক রাখা হচ্ছে।
এছাড়া জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের দখলদারিত্ব, রাজনৈতিক অবিচার ও সহিংস অভিযানের বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল প্রান্তে থাকা কাশ্মীরীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, পেহেলগাঁওয়ের প্রশ্নবিদ্ধ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন গ্রামে ধাপে ধাপে তল্লাশীর নামে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এতে নিরীহ কাশ্মীরীদের হত্যার ঘটনাও ঘটছে।