সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানকে দায়ী করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ দাবি করে বলেছেন, চালানো গুলিতে আমিও আঘাত পেয়েছি। তবে গায়ে জ্যাকেট থাকায় আহত হইনি। তবে আমার অনেক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ইউএনও’র সরকারি বাসভবন এলাকায় জনগণের ব্যবহৃত পুকুর, মসজিদ ও সড়ক রয়েছে। এ কারণে সেখানকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এটা বিসিসির নিয়মমাফিক কাজ। বিসিসির কর্মীরা আমাকে জানান, ব্যানার অপসারণ করতে গেলে ইউএনও তাদের গালিগালাজ করেছেন। তবে তিনি তা করেছেন কিনা আমি নিশ্চিত নই। বিষয়টি জানার পর মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সমস্যার সমাধানে সেখানে পাঠাই।
তিনি অভিযোগ করেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়। জানতে পেরে আমি দ্রুত সেখানে উপস্থিত হই। আমি যাওয়ার পরও গুলি ছোড়া অব্যাহত ছিল। তখন আমি হাত উঁচিয়ে আমার পরিচয় দেই। আমি মেয়র মেয়র বলে ডাক-চিৎকার করলেও কেউ কর্ণপাত করেননি। গুলি ছুড়তে থাকলে আমি অল্পের জন্য রক্ষা পাই। এরপর আমি পুলিশ কমিশনার, র্যাবের সিইও, আনসার প্রধানের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করি। আমি শুনেছি তারা ঘটনাস্থলে এসেছিলেন।
মেয়র বলেন, এভাবে দায়িত্ব পালন করা যায় না। আমার অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী এবং আমার বাবা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।