সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ হুসাইন আল-শারাআ আল-জুলানী বলেছেন, ইসরাইল দক্ষিণাঞ্চলের আস-সুয়াইদা প্রদেশে দ্রুজ সম্প্রদায়ের অস্থিরতা উসকে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য হলো সিরিয়াকে দুর্বল করে দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের বিশিষ্টজন ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সংলাপ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট আল-শারাআ বলেন, “আমাদের সামনে এখনো আরেকটি যুদ্ধ বাকি আছে, সেটা হচ্ছে সিরিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করার যুদ্ধ। তবে এই যুদ্ধ রক্তপাত ও সামরিক শক্তি দিয়ে নয়, বরং বোঝাপড়ার মাধ্যমে হওয়া উচিত। কারণ সিরিয়া অনেক যুদ্ধ সহ্য করেছে, মানুষ এখন শান্তি চায়।”
তিনি বলেন, “আমি মনে করি না সিরিয়া ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। যদিও কিছু মানুষ দেশকে ভেঙে ছোট ছোট ক্যান্টনে রূপ দিতে চাইছে, কিন্তু সেটা কখনোই সম্ভব নয়।”
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “কিছু পক্ষ আঞ্চলিক শক্তির, হোক তা ইসরাইল বা অন্য কেউ, সহায়তায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। কিন্তু এই পথও সফল হওয়ার মতো সহজ নয়।”
এর আগের দিন শনিবার সকালে আস-সুয়াইদার শহরকেন্দ্রে শত শত মানুষ “আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার” দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয়। সেখানকার মিছিলে ইসরাইলি পতাকা উড়তে দেখা যায়।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর