দক্ষিণ সিরিয়ার প্রদেশ সুইদায় গত কয়েকদিন ধরে চলা সংঘর্ষের অবসান ঘটেছে এবং শহরে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। শনিবার সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সুইদা শহর উপজাতীয় যোদ্ধামুক্ত হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ পুরোপুরি থেমে গেছে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকেও তাৎক্ষণিক ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানাকে দেওয়া বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নূরউদ্দিন আল-বাবা বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সহিংসতা প্রতিরোধে দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কাজ করেছে। সুইদা প্রদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে আমাদের বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সুইদা শহর উপজাতীয় যোদ্ধামুক্ত হয়েছে এবং শহরের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ বন্ধ হয়েছে।”
দেশব্যাপী স্থিতিশীলতা রক্ষায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সুইদায় সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে এক তাৎক্ষণিক ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে, যাতে নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা যায়।”
১৩ জুলাই থেকে সুইদা শহরে কিছু বেদুইন উপজাতি ও সশস্ত্র দ্রুজ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সহিংসতা বাড়তে থাকলে ইসরাইল সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। তারা দাবি করে, এই হামলা ‘দ্রুজ সম্প্রদায়ের সুরক্ষার’ লক্ষ্যে চালানো হয়েছে।
তবে সিরিয়ার অধিকাংশ দ্রুজ নেতা স্পষ্টভাবে যে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলেন, “আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ ও স্বাধীন সিরীয় রাষ্ট্রের প্রতি সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বাইরের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।”
সূত্র : আনাদোলু









