রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। এর প্রভাবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভবনে ধস, ফাটলসহ নানা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, হাতিরঝিলে ভবন হেলে পড়েছে; নিউমার্কেটে বহুতল ভবন হেলে পড়েছে, কলাবাগান ও বাড্ডায় দুটি ভবনে ফাটল ও হেলে যাওয়া; বংশালের বিল্ডিংয়ের সিঁড়ির রিলিং ধসে ৩ জনের মৃত্যু আহত ১; আরমানিটুলায় কসাইতলী ভবনের একাংশ ধসে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে লাফ দিয়ে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অতীতে কোন দেশে কেমন ক্ষতি হয়েছিল, চলুন তা জেনে নিই
ইন্দোনেশিয়া (২০২৫)
সুমাত্রার বেনগুলু প্রাদেশিক এলাকায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ১০০-এর বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৮টি বাড়ি ধসে গেছে যা সম্ভবত মেরামতযোগ্য নয়।
ইরান/তুরস্ক সীমান্ত (২০২০)
পশ্চিম ইরান এবং পূর্ব তুরস্কের সীমান্তের কাছে এই মাত্রার একটি ভূমিকম্পে নয়জন নিহত হন, যাদের সবাই তুরস্কের বাসিন্দা। এই ভূমিকম্পে ১,০৬৬টি ভবন ধসে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তানজানিয়া (২০১৬)
লেক ভিক্টোরিয়া লোকেশনে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছিল। প্রায় ২৭০টি ঘর ধ্বংস বা “ডেমোলিশড” হিসেবে রিপোর্ট করা হয়।
উগান্ডা (২০১৬)
তানজানিয়ায় লেক ভিক্টোরিয়ার কাছে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে উগান্ডার রাকাই জেলায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। ভবনগুলিতে গুরুতর কাঠামোগত ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে, অনেক ভবন হয় ধসে পড়েছে অথবা ফাটল ধরেছে।
চীনের হেজে (১৯৮৩)
৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৩,৩০০ এর বেশি ঘর ধ্বংস হয়েছিল। প্রায় ৩৪ জন মারা গিয়েছিল এবং প্রায় ২,২০০ জন আহত হয়।
চীনের ঝাংবেই-শাংই (১৯৯৮)
মাত্রা ৫.৭ হলেও এতে প্রায় ৭০,০০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ৭০ জন নিহত এবং প্রায় ১১,৫০০ জন আহত হয়; প্রায় ৪৪ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়।
রোমানিয়ার ভ্রাঞ্চা (২০১৪)
৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে সড়ক এবং ভবনে ক্ষতি হয়েছে। আহতের রিপোর্টও ছিল (কিছু এলাকায় মানুষ আহত হয়েছেন)।
সান ফ্রান্সিসকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৯৫৭)
৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আনুমানিক ১ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল। এতে একজন নিহত এবং প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছিল।









